Birth Certificate এই মাস থেকে অর্থাৎ অক্টোবর থেকেই সম্পূর্ণরূপে বদলে যাচ্ছে নিয়ম। জন্মের সংশয় পত্র (Birth Certificate) এবার থেকে হতে চলেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দামি নথি। গত আগস্ট মাসেই সংসদে পাস হয় রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ আমেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩। এবং এই বিল আইনে পরিণত হয়েছে আজ থেকেই। অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকেই কার্যকর হলো এই আইন। এর ফলে বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিলেই এবার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এবার থেকে এই ছয়টি ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়বেই! সরকারি চাকরি বা বেসরকারি চাকরি কিংবা বিয়ে থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স সব ক্ষেত্রেই বার্থ সার্টিফিকেট হতে চলেছে এবার থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। পহেলা অক্টোবর থেকেই নিয়মে বড়সড়ো পরিবর্তন হয়েছে। এবার থেকে আপনাদের বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে একাধিক বহু জায়গায় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন আপনারা। ভারতীয় নাগরিকরা ছয়টি পরিষেবার পাবার ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে সমস্যায় পড়ছেন।
বিলটি লোকসভায় পেশ করে এমনি দাবী করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়। নিত্যানন্দ রায় লোকসভায় জানিয়েছেন জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইনে তৈরির পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সংশোধন হয়নি। এই সংশোধনীর ফলে ভারতীয়দের (Janma-Mrityu Thathya) জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য সরকারের হাতে আরও নিখুঁত ভাবে থাকবে।কেন্দ্রীয় সরকারের বড় ঘোষণা।
জন্মের সংশয় পত্রের কোন ছয়টি ক্ষেত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ? Birth Certificate
Registration of Births and Deaths Amendment act 2023 রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ আমেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩, গত আগস্ট মাসে অধিবেশনের সময় সংসদে এই বিল পাশ হয়। বার্থ সার্টিফিকেটের এই বিল অনুযায়ী এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হওয়ার জন্য লাগবে এই সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য লাগবে এই বার্থ সার্টিফিকেট, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য এবং আধার কার্ডের নাম তোলার জন্য লাগবে এই সার্টিফিকেট, ও বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে করার ক্ষেত্রে লাগবে এই সার্টিফিকেট, এবং সরকারি চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগবে এই বার্থ সার্টিফিকেট।১ অক্টোবর থেকেই কার্যকর হয়েছে এই নয়া নিয়ম বা যেকোনো সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রেই এই নথি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ১ অক্টোবর থেকে।
জন্মের সংশয় পত্রের না থাকলে কি কি পরিষেবা পাবেন না! Birth Certificate
Birth Certificate বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে আপনারা যে সমস্ত পরিষেবা গুলি পাবেন না সেগুলি হল:
১) বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে নতুন আধার কার্ড তৈরি বা সংশোধন করতে পারবেন না।
২) ইস্কুল কলেজের ভর্তির ক্ষেত্রেও এই বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে সমস্যায় পড়বেন।
৩) নতুন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য লাগবে এই সার্টিফিকেট।
৪) ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি ক্ষেত্র লাগবে এই সার্টিফিকেট।
৫) বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করতেও লাগবে এই বার্থ সার্টিফিকেট।
৬) সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগবে বার্থ সার্টিফিকেট।
কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের দাবি এই জন্মসংশায় পত্র ব্যবহারের ফলে বিদ্যালয় ভর্তি কিংবা সরকারি চাকরি বা বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ক্ষেত্রেও জটিলতা অনেকটাই কমবে। এবং জাতীয় ও রাজ্য স্তরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধিত ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করতে সাহায্য করবে (Registration of Births and Deaths Amendment act 2023) রেজিস্টার অফ বার্থ এন্ড ডেথ এমেন্টমেন্ট বিল ২০২৩। এর ফলে সামাজিক সুবিধা ও ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে।
গত ২৬ শে জুলাই সংসদে এই বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায়। পরে সেই বিলটি সংসদে উভয় কক্ষে পাস হয়েছে।
আধার কার্ডের মতোই জন্মের সংশয় পত্রে গুরুত্ব বেড়েছে ১ অক্টোবর থেকে। এবং নতুন আধার কার্ড তৈরি করতে গেলেও বার্থ সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়বে।
কোথায় থেকে এই বার্থ সার্টিফিকেট পাবেন? Birth Certificate
এই সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সাধারণত সদ্যোজাত শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করতে হয় বার্থ সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যায় গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে। ও শহরের ক্ষেত্রে মিউনিসিপালিটি বা কর্পোরেশন থেকে অথবা সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল থেকে। এই সার্টিফিকেটে আবেদন করতে সর্বনিম্ন রেজিস্ট্রেশন ফ্রি হিসেবে ২০ টাকা দিতে হয়।
এই নিয়ম বদল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০২৩,(registration of births and deaths amendment act 2023) এর ধারা প্রয়োগ করে ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ম কার্যকর করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় বলেন, রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ আমেন্ডমেন্ট বিল ১৯৬৯ কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংশোধন করা হয়নি। তবে সময়ের সঙ্গে বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবা কে আরো নাগরিক বন্ধন করে তুলতে সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। তাই এই বিল আনা হয়েছে। আর সেই বিল সংসদে পাস হয়েই আইনে পরিণত হতেই তা এখন কার্যকর করা হলো দেশজুড়ে। এতে পরিষেবার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা দূর হবে নাগরিকদের বলে আশা করা হচ্ছে।
• নিবন্ধটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সবার আগে জানার জন্য wbsainblog.com আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন
✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
👉 Lakshmir Bhandar payment:- লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা আর পাবেন না এই কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলে!
👉 Driving Licence: রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত, জুন মাস থেকে দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স, কিভাবে মিলবে?
✅ আরও পড়ুন: 👉 Jaago prokolpo online apply 2023 :জাগো প্রকল্পে পাঁচ হাজার টাকা করে Benefit দেওয়া হবে মহিলাদের!এখনই নাম লেখান!