E paddy recruitment online registration : সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্র বা কৃষাণমান্ডি, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য সুখবর। আপনি কি একজন চাষী, আপনি কি ধান বিক্রির জন্য অনলাইন আবেদন করতে চান? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে, দারুণ সুখবর। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে কৃষকদের জন্য সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে। এখন কৃষকেরা নিজেরাই অনলাইন এর মাধ্যমে ধান বিক্রয়ের জন্য নতুন রেজিস্ট্রেশন ও ধান বিক্রির জন্য দিনক্ষণ করতে পারবেন।
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি জন্য নতুন আবেদন করতে চান ( West Bengal e paddy recruitment online registration আবেদন করতে চান ) তাহলে আপনারা সরকারের ফুট দপ্তরের e-paddy website থেকে কিভাবে অনলাইন আবেদন করবেন অথবা সরকারি সহায়ক কেন্দ্রে ধানের মূল্য কত তার সমস্ত বিষয়ে জানতে পারবেন আজকের এই প্রতিবেদনে মাধ্যমে।
West Bengal E paddy recruitment online registration.
পশ্চিমবঙ্গে খারিফ মরশুমে প্রতিবছর যে ধান উৎপাদন হয় তা সরকার দ্বারা ধান ক্রয় হয় প্রতি নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে MSP ম্যাক্সিমাম সাপোর্ট প্রাইজ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করে। পশ্চিমবঙ্গের ফুড দপ্তরের এই সমস্ত কাজ গুলি পরিচালনা করা হয় কিষানমন্ডিতে ও স্থানীয় কৃষি দপ্তরে মাধ্যমে। আপনি স্থানীয় কৃষি দপ্তর বা কিষাণমন্ডিতে এমএসপির ( MSP) মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারবেন অনলাইন আবেদনে করে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এই বছর কবে থেকে ধান কিনছেন? When is the state government of West Bengal buying rice this year?
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এই বছর ২০২৩ ২৪ খারি বিপনন মরশুমে ১লা নভেম্বর ২০২৩ থেকে সরকার ধান কেনা শুরু করেছেন। রাজ্যের সব ব্লকে যেখানে ধান হয় সেখানেই স্থায়ী ধান কেন্দ্রগুলি সিপিসি বা মোবাইল থ্রিপিসির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি, কৃষি সমবায় বিপন্ন সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি, সংঘ বা মহাসংঘ, কৃষি উৎপাদক সংস্থা ও কৃষি উৎপাদক কোম্পানি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আগাম নোটিশ দিয়ে ক্যাম্পের মাধ্যমে ধান কিনছেন। সরকারি ছুটির দিন বাদ দে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত এই ধান কেনার কাজ চলবে।e paddy recruitment online registration
কিষাণমান্ডিতে ২০২৩-২৪ খারিফ বিপণন মরশুমে ধানের নিম্নতম সহায়ক মূল্য কত? e paddy recruitment online registration
আপনি যদি সরকারি হিসেবে ধান বিক্রি করতে চান তাহলে ম্যাক্সিমাম সাপোর্ট প্রাইস (MSP) হিসাবে এবছর স্থায়ী ধান কয় কেন্দ্রে (CPC) বা সরাসরি ধান ক্রয় কেন্দ্রে (DPC) বা মোবাইল CPC গুলিতে বা কিষাণমান্ডিতে ধান বিক্রয় করলে কৃষকেরা ধানের নিম্নতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা। স্থায়ী ধান কয় কেন্দ্র গুলি বা মোবাইল CPC গুলিতে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ মূল্য পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কুইন্টাল প্রতি ধানের মূল্য বাবদ ২২০৩ টাকা পাবেন।
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
এই টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে ধান বিক্রয়ের পর তিনটি কাজের দিনের মধ্যেই সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে।
একজন কৃষক গোটা বছরে সর্বাধিক ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রয় করতে পারবেন। অবশ্য সর্বাধিক বিক্রয় যোগ্য ধানের পরিমাণ কৃষক বন্ধু পোর্টালের দেওয়া তথ্য এবং চাষযোগ্য জমির পরিমাণের উপর নির্ভর করবে।
ধান বিক্রির জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন! E paddy Procurement online Registration
আপনি যদি সরকারি হিসেবে কিষাণমান্ডিতে ধান বিক্রি করতে চান তাহলে খুব সহজেই ধান বিক্রয়ের জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। একজন কৃষক যদি আগে থেকেই কৃষক বন্ধু পটালে নাম নথিভুক্ত করে থাকে, তবে খুব সহজেই ধান বিক্রয়ের জন্য ধান ক্রয় পটালে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
অথবা যদি আপনি অনথিভুক্ত বর্গাদার হন বা আপনার নাম কৃষক বন্ধু পোটালে নথিভুক্ত না থাকে তাহলে আপনার জমি সংক্রান্ত ঘোষণা পত্র নির্দিষ্ট বয়ান অনুযায়ী যা খাদ্য দপ্তর পোটালে উপলব্ধ দিয়ে আপনি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে? What documents are required for name registration?
নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে কাগজপত্র গুলি লাগবে সেগুলি হল
1) ভোটার কার্ড (Voter Card)
2) আধার কার্ড (Aadhaar Card)
3) কৃষি উপযুক্ত জমির রেকর্ড কপি (Land Record)
4) ব্যাংক পাস বইয়ের প্রথম পাতার কপি ( Bank Passbook)
5) পাসপোর্ট সাইজের ছবি (Pasport Size Photo)
এই উপরের দেওয়া তথ্যের নথি গুলি জেপিজি JPG অথবা পিডিএফ PDF আকার স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
ধান বিক্রয়ের জন্য কিভাবে অনলাইন আবেদন করবেন? How to apply online for e paddy sales?
ধান বিক্রয় করার জন্য যদি আপনি অনলাইন আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে মোবাইল বা কম্পিউটারের থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার গিয়ে টাইপ করে সার্চ করতে হবে e-paddy এরপর প্রথমে উপরের দিকে যে ওয়েবসাইটটি আসবে e-paddy Procurement এটাতে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনাদের সামনে e-paddy অফিসিয়াল https ://epaddy.wb.gov.in এই ওয়েবসাইটটি খুলে আসবে।
এরপর বামদিকে ফার্মার সেল্ফ রেজিস্ট্রেশন এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে, ক্লিক করলেই নতুন একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে।
নতুন পেজেই সর্বপ্রথম আপনার একটি অপশন পাবেন এখানে লেখা রয়েছে আপনি কি কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ইতিমধ্যে নথিভুক্ত যদি নথিভুক্ত থাকেন তাহলে হা করবেন, আর যদি না থাকেন তাহলে না করবেন এটি সিলেট করার পরে নিচের অপশনটিতে ভোটার কার্ডের নাম্বার নাম্বার দেওয়ার পর নিচের ছোট্ট বক্সে টিক দিয়ে সাইটের ভ্যালিড অপশনে ক্লিক করবেন। e paddy recruitment online registration
এরপর আধার কার্ডের বক্সের মধ্যেই আবেদনকারীর আধার কার্ডের নম্বর বসাবেন। এবং KYC OTP অপশনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করলেই আধার রেজিস্ট্রেশন মোবাইল নম্বরে একটি OTP আসবে সেই OTP জায়গায় বসাবেন, এবং পরবর্তী অপশনে আবেদনকারীর আধার কার্ডের যে নামটি রয়েছে সেই নামটি বসাবেন এবং এর পরবর্তী মোবাইল নম্বর বক্সে মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পরে জেনারেট OTP তে ক্লিক করবেন এবং আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি OTP আসবে সেই OTP otp জায়গায় বসিয়ে ভ্যালিটিতে ক্লিক করুন। পরবর্তী বক্সে আবেদনকারী কোন জেন্ডার এবং জাতি তা সিলেক্ট করুন। e paddy recruitment online registration
✅ আরও পড়ুন: 👉 Digital life certificate বা Jeevan pramaan Patra নভেম্বরে 2023 কি জমা দিতে হবে পেনশন ভোগীদের? Benefit জানুন বিস্তারিত তথ্য!
এর পরবর্তী অপশনে বাবা-মা অথবা স্বামীর নাম লিখুন এবং সম্পর্ক সিলেট করুন। এর পরের অপশনে বাসস্থানের ঠিকানা সিলেট করুন প্রথমে District সিলেক্ট করুন এরপর ব্লক বা পৌরসভা নির্বাচন করুন, এবং আপনি যদি গ্রামের বাসিন্দা হন তাহলে পঞ্চায়েত সিলেক্ট করুন অথবা আপনি যদি শহরের বাসিন্দা হন তাহলে ওয়ার্ড সিলেক্ট করে বেছে নিন আপনার অঞ্চল অথবা ওয়ার্ড এর নাম। এরপর আপনার গ্রামের নাম ও পোস্ট অফিসের নাম এবং সেন্টার সিলেট করুন। e paddy recruitment online registration
এরপরের অপশনে আবেদনকারীর কৃষকের জমির পরিবারের বিবরণ দিতে হবে যার মধ্যে রয়েছে কৃষি জমি কোন জেলায় রয়েছে সিলেক্ট করবেন এরপর আপনার এলাকার ব্লক অফিসের নাম এরপরে মৌজার নাম তারপরে আপনার গ্রামের নাম কৃষি উপযুক্ত জায়গার খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর ওয়ারিস এর ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট এইসব তথ্য গুলি আপনাকে ফিলাপ করতে হবে। এবং আপনার যতগুলি খতিয়ান রয়েছে সবগুলি কি আলাদা আলাদা করে কোনায় প্লাস অপশনে ক্লিক করে যোগ করতে হবে।
এরপরে অপশনটি ব্যাংক ডিটেইলস এখানে আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাংক ডিটেলস নিচের বক্সের মধ্যে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যেমন ব্যাংকের নাম ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার আইএফসি কোড ব্রাঞ্চের নাম একাউন্ট এর ধরন সিঙ্গেল একাউন্ট বা জয়েন্ট একাউন্ট সেটা সিলেক্ট করতে হবে। e paddy recruitment online registration
এবং এরপরে নথি আপলোড অপশনে প্রথমে ভোটার কার্ড আপলোড করতে হবে, এরপর জমির নথি আপলোড করতে হবে, এরপর ব্যাংকের পাস বই আপলোড করতে হবে, এবং সর্বশেষ আধার কার্ড আপলোড করতে হবে।
আপলোড করার পরে ঘোষণা বা ডিক্লারেশন এই অপশনটিতে দুইটি অপশন পাবেন একটি সাবমিট খতিয়ান অপরটি সেলফ ডিক্লারেশন দুটির মধ্যে যেটি হবে সেটি সিলেক্ট করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন আপনার ফরমটি সাবমিট হয়ে যাবে।
• নিবন্ধটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সবার আগে জানার জন্য wbsainblog.com আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন
✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
👉 Lakshmir Bhandar payment:- লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা আর পাবেন না এই কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলে!
👉 Driving Licence: রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত, জুন মাস থেকে দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স, কিভাবে মিলবে?