Oasis Scholarship : মাধ্যমিক পাস করলেই সরাসরি হাতে পাবেন পাঁচ হাজার টাকা স্কলারশিপ। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর। কিভাবে পাবেন এই স্কলারশিপের টাকা এবং কিভাবে আবেদন করবেন এই স্কলারশিপের জন্য বিস্তারিত তথ্য জানানো হলো এই প্রতিবেদনে, তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।
কারা কিভাবে এই স্কলারশিপের টাকা পাবেন? Oasis Scholarship
রাজ্যের সমস্ত কাস্ট সার্টিফিকেট ধারী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দারুন সুখবর। আবারো আবেদন শুরু হলো ওয়েসিস স্কলারশিপের। এই ওয়েসিস স্কলারশিপের আওতায় বছরে ৫০০০ টাকা করে সরকারি বৃত্তি পাবেন। রাজ্যের সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়াদের OBC , ST, SC শিক্ষার্থীরা এই টাকা পাবেন।
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় যাতে আর্থিক প্রতিকূলতা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই উদ্দেশ্যেই এই ওয়েসেস স্কলারশিপ (Oasis Scholarship) স্কিম চালু করেছে সরকার। কিছুদিন আগে আবারো এই স্কলারশিপের আবেদন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই স্কলারশিপের জন্য অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। ওয়েসেস স্কলারশিপের আবেদনের পদ্ধতি, আবেদনের যোগ্যতা সমস্ত বিষয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো এই প্রতিবেদনে।
কারা কারা এই ওয়েসিস স্কলারশিপ এর আবেদন করতে পারবেন? Oasis Scholarship
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সংরক্ষিত শ্রেণীভুক্ত বা কাস্ট সার্টিফিকেটধারী ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে এই (Oasis Scholarship) ওয়েসেস স্কলারশিপ। (SC) তপশিলি জাতি, (ST) তপশিলি উপজাতি, ও (OBC) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, শ্রেণীভুক্ত পড়ুয়ারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ওয়েসেস স্কলারশিপ (Oasis Scholarship) মোট তিন পর্যায় বৃত্তি প্রদান করা হয়। যেগুলি হল প্রিম্যাটট্রিক স্কলারশিপ, পোস্টমেট্রিক স্কলারশিপ, ও স্নাতক স্তরে স্কলারশিপ। এবং এই তিন শ্রেণীর বৃত্তির টাকার ক্ষেত্রেও ভিন্ন অংকের হয়।
ওয়েসেস স্কলারশিপ আবেদনের জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন? Oasis Scholarship
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফে পরিচালিত ওয়েসেস স্কলার্শিপ আবেদন (Application) জানাতে হলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। ছাত্র বা ছাত্রীকে (ST SC OBC) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। এই স্কলারশিপে টাকা পাওয়ার জন্য পড়ুয়ার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট (Bank Account) থাকা বাধ্যতামূলক। এবং পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। এই ওয়েসেস স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপের অফিসের এই www.oasis.gov.in গিয়ে আবেদন করতে হবে।
স্কলারশিপে আবেদন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কি কি লাগবে? Oasis Scholarship
1) আবেদনকারীর কাস্ট সার্টিফিকেট
2) আবেদনকারীর আধার কার্ড
3) আবেদনকারীর জন্ম সার্টিফিকেট
4) আবেদনকারীর পরিবারের আয়ের সার্টিফিকেট
5) আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্ট ডিটেইলস
6) এবং আবেদনকারীর শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মার্কশিট।
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
এই সকল কাগজপত্র স্কলার্শিপ আবেদন করার সময় প্রয়োজন পড়বে। এবং স্কলারশিপে আবেদন জানানোর সময় ইস্কলারশিপের যাবতীয় নিয়মাবলী ভালো করে পড়ে নেবেন। এছাড়াও স্কলারশিপ সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য জানতে www.oasis.gov.in এই অফিসের ওয়েবসাইটটি পরিদর্শন করুন।
ওয়েসেস স্কলারশিপে এর আবেদন করার পদ্ধতি! Oasis Scholarship
ওয়েসেস স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে মোবাইল বা কম্পিউটারের যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। এবং স্কলারশিপের এই www.oasis.gov.in অফিসিয়াল ওয়েবসাইট টি ওপেন করে নিতে হবে।
এরপর সাইটে থাকা স্টুডেন্ট রেজিস্ট্রেশন এই অপশনে ক্লিক করলেই নতুন একটি পেজ ওপেন হবে সেখানে জেলার নাম সিলেট করতে হবে ও সাবমিট করতে হবে।
এরপরে আপনাদের সামনে একটি করণীয় ও বর্জনীয় বার্তা ওপেন হবে।
যেমন :
১) আবেদনপত্রে নির্ধারিত স্থানে আপনার নিজের জাতি শংসাপত্রের নম্বরটি লিখতে হবে।
২) অনুগ্রহ করে আপনার নিজের সঠিক আধার নম্বর লিঙ্গ এবং জন্মতারিখ আবেদন পত্রের নির্দিষ্ট স্থানে লিখুন। জাতিসংশা পত্রের নাম ও আধারের নাম একই হতে হবে।
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
৩) পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে সাবধানে কোর্স এবং প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন, কোন অমিলের ফলে আবেদন প্রত্যাগান হতে পারে এবং কোন ভুল তথ্য দিয়ে স্কলারশিপ পেলে টাকা পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে ও এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্কলার্শিপ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
৪) সক্রিয় মোবাইল নম্বর যা আপনার নিজের বা যেটিতে আপনার অধিকার আছে সেই মোবাইল নম্বর দিয়ে আবেদন করুন। আপনার কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে এটি সংরক্ষণ করতে হবে।
৫) একজন প্রার্থী থেকে শুধুমাত্র একটি আবেদন গ্রহণ করা হয় একাধিক আবেদন ফলে আবেদন পত্র খান হতে পারে।
৬) আপনার ব্যাংক একাউন্ট অবশ্যই আধার সিট এবং ডিভিডি সক্রিয় হতে হবে।
৭) বৃত্তির অর্থ আপনার নিজের আধারযুক্ত ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে।
৮) বাংলার শিক্ষা পোর্টালের নামের সাথে আধারের নাম মিলতে হবে। অন্যথায় আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।
এরপর কার সার্টিফিকেট নম্বর সহ আধার নম্বর, ছাত্র-ছাত্রীর ডিটেলস ও ক্লাস সম্পর্কিত তথ্য সহ সমস্ত সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে সাবমিট করে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপরই আপনি একটা অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাবেন। যেটা দিয়ে পরবর্তীতে আপনি অ্যাপ্লিকেশনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
• নিবন্ধটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সবার আগে জানার জন্য wbsainblog.com আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
✅ আরও পড়ুন: 👉 Digital life certificate বা Jeevan pramaan Patra নভেম্বরে 2023 কি জমা দিতে হবে পেনশন ভোগীদের? Benefit জানুন বিস্তারিত তথ্য!
👉 Lakshmir Bhandar payment:- লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা আর পাবেন না এই কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলে!
👉 Driving Licence: রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত, জুন মাস থেকে দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স, কিভাবে মিলবে?