E shram Card 2024 : কেন্দ্রীয় সরকার(central government) ভারতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী শ্রমিকদের আর্থিক ভাবে সহায়তা করার জন্য ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card ) প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে।e shram Card ই শ্রম কার্ডে আবেদন করলেই পাবেন প্রতি মাসে হাজার টাকা করে। যারা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাদেরকে ই-শ্রম কার্ডের আওতাভুক্ত শ্রমিকদের অনুদান প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। যদিও বা অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা জানেন না কিভাবে তারা এই প্রকল্পে আত্তায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তাই আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।
ই-শ্রম কার্ডের প্রকল্পের সুবিধা গুলি কি কি ? E shram Card 2024
এই ই-শ্রম কার্ডে প্রকল্পের আওতায় থাকা সুবিধা গুলি তালিকা। এক্ষেত্রে বলতে হয় যে এই প্রকল্পে থাকা শ্রমিকদের প্রতি মাসে 500 টাকা থেকে শুরু করে 1000 টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রকল্পে যেকোনো শ্রমিকদের বয়স যদি ৬০ বছর হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে বয়স্ক শ্রমিকরা এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে পেনশন দেওয়া হয়। অর্থাৎ দরিদ্র ও বয়স্ক শ্রমিকরা এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে পেনশন পেয়ে থাকেন।
এর পাশাপাশি এই বিষম কাঠ প্রকল্পের আওতায় থাকা যেকোনো শ্রমিক যদি যেকোনো কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে অথবা ঐ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে উক্ত শ্রমিকের নমিনি বা আইনস সম্মত উত্তরাধিকারী অথবা পরিবারের সদস্যদের দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ঐ শ্রমিকের পরিবারের সহায়তার জন্য পরিবারের মহিলাদের কে সেলাই মেশিন ও শিশুদেরকে সাইকেল প্রদান করা হয়ে থাকে। e shram Card ই শ্রম কার্ডে আবেদন করলেই পাবেন প্রতি মাসে হাজার টাকা করে।
এই ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পে শ্রমিকদের কি কি শর্ত মেনে চলতে হবে ? E shram Card 2024
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেই এই ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রেও ভারতে নাগরিকদের বেস কতগুলি শর্ত মেনে চলতে হয়। আর এই শর্তগুলি হল:-
১) প্রথম শর্ত এই ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আইত্তায় শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছর এরমধ্যে হতে হবে।
২) কেবলমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরাই এই প্রকল্পের আত্তায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এমনটাই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
৩) যে সমস্ত শ্রমিকরা আয়কর প্রদান করে থাকেন অথবা যে সমস্ত শ্রমিকদের নাম EPFO এবং ESICএর অধীনে রয়েছে তারা কোনোভাবেই ই-শ্রম কার্ডের প্রকল্পের আয়তায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। অর্থাৎ যারা চাকরি করেন অথবা PF পান তারা এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
কিভাবে ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদন করবেন ? E shram Card 2024
এই ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টার (CSC) এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে আপনি নিজেই আপনার নিজের স্মার্টফোনের মাধ্যমেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://E-Shram.gov.in -এ যেতে হবে। এরপর হোম পেজের ডান সাইডে থাকা রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
পরবর্তীতে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, স্থায়ী ঠিকানা, নমিনি নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কোন ক্ষেত্রে কাজ করেন, ব্যাংক একাউন্ট সহ সমস্ত ডিটেলস সঠিকভাবে লিখে Submit’ করতে হবে। Submit অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ই-শ্রম কার্ডটি তৈরি হয়ে যাবে। এরপর আপনার ই-শ্রম কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। e shram Card ই শ্রম কার্ডে আবেদন করলেই পাবেন প্রতি মাসে হাজার টাকা করে।
তবে আপনাকে ই-শ্রম কার্ডে হাজার টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে। ই-শ্রম কার্ডে টাকা পেতে গেলে আপনাকে কোন কোম্পানিতে কাজ করছেন তার কাগজপত্র জমা করতে হবে নতুবা আপনি এই ই-শ্রম কার্ডে টাকা পাবেন না। অথবা মাসে মাসে আপনাকে কিছু কিছু করে টাকা জমা করতে হবে। সেই টাকা আপনার বয়স যখন 60 বছর হবে তারপর তা আপনি পেনশনরূপে মাসে মাসে পাবেন।
• নিবন্ধটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সবার আগে জানার জন্য wbsainblog.com আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন
আরও পড়ুন: 👇👇👇👇👇👇
প্রত্যেক নাগরিক 20,000 টাকা করে নগদ পাবেন! আবেদন করলেই সুযোগ
আবাস যোজনার নতুন লিস্ট, pradhanmantri aawas Yojana new list 2023