Madhyamik Pariksha 2024 – মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য শেষ মুহূর্তের দিকনির্দেশনা
Madhyamik Pariksha 2024 / মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের রাতে করণীয়ঃ-
১) পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha) কেন্দ্র সম্পর্কে জানা।
২) পরীক্ষার বিষয় ও সময়সূচী দেখে নেওয়া।
৩) ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষার আগের রাতে রিভিশন।
৪) পরীক্ষার আগের রাতে অধিক সময় জেগে না থাকা।
৫) পারিবারিক ও অন্যান্য কোনো সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করা।
৬) খোলা বাতাসে হেঁটে মনকে একটু প্রফুল্ল তথা হালকা করে নেওয়া।
৭) প্রয়োজনীয় উপকরণ গুছিয়ে রাখা।
৮) রুচিসম্মত ও পরিমিত খাবার খাওয়া।
৯) অহেতুক পেরেশানিতে না থাকা তথা Over Tension না করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন সকালে করণীয়ঃ
১) সঠিক সময়ে নামায আদায় করা।
২) প্রয়োজনীয় উপকরণ চেক করে গুছিয়ে রাখা।
৩) স্কুলের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিধান করা।
৪) সুষম হালকা খাবার খাওয়া।
৫) প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম সুসম্পন্ন করে নেওয়া।
৬) দূরত্ব বুঝে সঠিক সময়ে রওয়ানা হওয়া।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে যাওয়ার সময় করণীয়ঃ-
১) পকেটে কোনো কাগজপত্র না রাখা।
২) মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন না রাখা।
৩) পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন এবং উপস্থিত মুরুব্বী তথা গুরুজনদের সালাম পেশ করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বাড়ি বা হোস্টেল থেকে বের হওয়ার নিয়মঃ-
১. পরীক্ষা দিতে বের হওয়ার আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ পরে দুআ তথা মুনাজাত করা।
২. রওয়ানা দেওয়ার সময় “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাউলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিউল আযীম।” (“আমি আল্লাহর উপর ভরসা করলাম, আল্লাহ ছাড়া ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ দান করার আর কেউ নেই।”)
পরীক্ষার হলে করণীয়ঃ-
১. পরীক্ষার (Madhyamik Pariksha) হলে প্রবেশ করে নিজের সিট নম্বর খুঁজে বসা এবং নিজের জায়গা ছেড়ে এখানে-ওখানে না ঘুরা:
২. পরীক্ষার হলে শিক্ষকের দিকনির্দেশনা শুনা ও মেনে চলা।
প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর করণীয়ঃ-
১) প্রশ্নপত্রের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখা।
২) কমনপাওয়া প্রশ্নগুলোকে চিহ্নিত করে নেওয়া।
৩) প্রয়োজনের অতিরিক্ত কমন থাকলে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর বেশী ভালোভাবে লেখা সম্ভব হবে, শুধু সেই প্রশ্নগুলোকেই চিহ্নিত করা।
৪) অধিক নম্বর পাওয়ার উপযোগী প্রশ্নগুলি নির্বাচন করা।
উত্তর-পত্র হাতে পাওয়ার পর করণীয়ঃ-
১) উত্তর-পত্রের নিজের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো (Personal Information) সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন করে পূরণ করা।
২) উত্তর-পত্রে মার্জিন দেওয়া ও প্রশ্নের নম্বর ঠিক করে লেখা।
৩) উত্তর লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে:-
*উত্তর-পত্রের কোভার পৃষ্ঠা এবং শেষ পৃষ্ঠা বাদে সমস্ত পৃষ্ঠার উভয় দিকে লিখতে হবে।
*উত্তর-পত্রের কোথাও কোনো অসৌজন্যমূলক মন্তব্য লেখা যাবে না।
*কোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে কোনো পৃষ্ঠার দুই-তৃতীয়াংশে গিয়ে শেষ হলে পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর ঐ পৃষ্ঠায় শুরু না করে, পরের পৃষ্ঠায় গিয়ে লেখা শুরু করতে হবে।
*প্রশ্নের অতিরিক্ত কোনো উত্তর লেখা যাবে না। তাই প্রশ্নের প্রতি খেয়াল রেখে উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে।
*উত্তর লেখার সময় ভুল করে খাতার কোনো পৃষ্ঠা ফাঁকা থেকে গেলে তা দেখা মাত্রই লম্বভাবে একটি দাগ দিয়ে তা কেটে দিতে হবে।
*পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের প্রদেয় সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ পূর্ণ নম্বরের উত্তর প্রদান করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনঃ
১) পরীক্ষার (Madhyamik Pariksha) হলে নিজের প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র অন্য ছাত্রকে দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়াও প্রশ্নপত্র যাতে বাতাসে উড়ে না যায় অথবা বেঞ্চ থেকে পড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২) পরীক্ষার হলে নিজের কলম, পেন্সিল, শার্পনার, ইরেজার, জ্যামিতি বক্স প্রভৃতি অন্য কাউকে দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৩) পরীক্ষার হলে স্বাক্ষর পত্রে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও অ্যাডমিট (রোল নম্বর) সঠিকভাবে লিখে সই করতে হবে।
৪) পরীক্ষার হলে দায়ীত্ব পালনরত কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে অসৌজন্যমূলক কোনো কথা না বলা এবং অসৌজন্যমূলক কোনো আচরণ না করা।
৫) পরীক্ষা চলাকালে টয়লেটে না যাওয়াই উত্তম। তবে টয়লেটে যাওয়াটা খুব বশী জরুরী প্রয়োজন হয়ে পড়লে শিক্ষক/শিক্ষিকার অনুমতি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। প্রশ্নপত্র সাথে নিয়ে টয়লেটে যাওয়া চরমভাবে নিষিদ্ধ, তা কখনোই করা যাবে না।
৬) উত্তরপত্রের জন্য ব্যবহৃত কোনো কাগজ বাইরে আসা যাবে না। লুজশীট নেওয়ার পরে তা লেখার জন্য প্রয়োজন না হলে শিক্ষক/শিক্ষিকাকে ফেরত দিয়ে বলে দিতে হবে, তিনি/তাঁরা লুজশীট রেকর্ড সংশোধন করে নিতে পারেন।
পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের প্রতিবন্ধক বা অন্তরায় বা বাধাঃ
১) প্রশ্ন আউট হয়েছে এমন শুনা এবং প্রতিক্রিয়ায় নিজের পড়াশুনার রদবদল করা।
২) শর্ট সাজেশন পড়া।
৩) শুধু পরীক্ষার আগে একটু পড়াশুনা করা।
৪) কনফিডেন্স বা মনের সাহস বাড়াতে না পারা।
৫) পরীক্ষায় নকলের উপর নির্ভর করা।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়গুলিতে করণীয়ঃ-
১) আনন্দে আত্মহারা না হওয়া।
২) শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা।
৩) পরীক্ষা খারাপ হলে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়া।
৪) পড়াশুনার বইখাতা গুছিয়ে রাখা।
পরীক্ষার শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয়ঃ-
১) সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা এবং প্রার্থনা করা।
২) গর্ব-অহঙ্কার না করা।
৩) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলি গুছিয়ে রেখে দেওয়া।
৪) বইখাতাগুলি গুছিয়ে রেখে দেওয়া।
৫) ধীরে ধীরে পরবর্তী স্তরের বা ক্লাসের পড়াশুনা শুরু করা।
•🔥 নিবন্ধটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সবার আগে জানার জন্য wbsainblog.com আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন। 🔥
✅🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট 🔥✅
✅ সেরা রান্নার রেসিপি ওয়েবসাইট
✅ অনলাইনে পণ্য কেনাকাটার জন্য সেরা ওয়েবসাইট
✅ 🔥 এইরকম নিত্যনতুন বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্প চাকরি শিক্ষা ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন।🔥✅