Krishak Bandhu Benefit : পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য দারুন সুখবর কারণ এই অভাবের দিনে পকেট খালি অবস্থায় সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে চিন্তা নেই, কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা করে পাঠাতে চলেছে। এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেন? কিন্তু হ্যাঁ এটাই সত্যি। আসুন দেখে নেওয়া যাক কেন এই টাকা সরকার আপনাকে দেবে।
৫০০০ টাকা করে কৃষক বন্ধু (krishak bandhu) প্রকল্পের উপভোক্তাদের একাউন্টে ঢোকার কথা ছিল এর আগেই। তবে সেটা হয়ে ওঠেনি। সেই বিলম্ব অবশেষে শেষ হতে চলেছে। কারণ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যের কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ৫০০০ টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাংলার কৃষকেরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অর্থ পেয়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার শুধুমাত্র কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত থাকা বাংলার কৃষকদেরকে এই কেবলমাত্র এই টাকা দেবেন। তবে উল্লেখ্য এই যে বাংলার কৃষকেরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এবং তা একসঙ্গে দেওয়া হয় না, ৫০০০ করে দুই কিস্তির মাধ্যমে করে দেওয়া হয়ে থাকে।
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার কৃষক বন্ধু প্রকল্পে, কৃষকদের যে টাকা দেয় সেটি মূলত রাজ্য কৃষকদের কৃষিকাজের খরচ প্রদানের উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হলো:
কৃষ বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে এই প্রকল্পের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এই প্রকল্পে কৃষকদের বছরে দুইটি কিস্তিতে অনুদানের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।
এই প্রকল্পে রবিশস্য অনুদান অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই দেওয়া হয়ে থাকে।
আর খারিফ শস্যের অনুদান এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই দেওয়া হয়ে থাকে।
কারা কারা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন? Krishak Bandhu
১) এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অর্থ পেতে হলে আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) এই কৃষক বন্ধু (krishak bandhu) প্রকল্পে যদি কৃষকদের এক একরের বেশি জমি থাকে তাহলে সেই কৃষকদের বছরে দুইবার পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ বছরে মোট ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।
৩) এই প্রকল্পে যদি কৃষকদের এক একরে কম জমি থাকে তাহলে সেই কৃষকদের বছরে দুইবার দু হাজার করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বছরের মোট চার হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।
৪) এই কৃষক বন্ধু (krishak bandhu) প্রকল্পে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যে সমস্ত কৃষকেরা রয়েছেন তারা যদি কোন কারনে হঠাৎ মারা যান তবে তাদের এই প্রকল্পের অধীনে আরো দুই লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে।
Krishak Bandhu কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?
এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি লাগবে সেগুলি হল:
১) ভোটার কার্ডের জেরক্স কপি।
২) আধার কার্ডের জেরক্স কপি।
৩) জমির খতিয়ানের জেরক্স কপি।
৪) ব্যাংক পাস বইয়ের জেন্স কপি।
৫) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন?
এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে বাংলার কৃষকেরা যদি আবেদন করতে চান তাহলে আবেদনকারী কৃষক কে অফলাইনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য নতুন আবেদন করতে পারবেন।
এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস বা আপনার নাম আছে কিনা কিভাবে জানতে পারবেন?
1) কৃষক বন্ধু প্রকল্পে স্ট্যাটাস জানার জন্য প্রথমে আপনাকে (krishak bandhu) কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অফিসিয়াল www.krishakbandhu.net এই ওয়েবসাইটটি ওপেন করতে হবে।
2) নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবং ক্লিক করলেই নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। এবং সেখানে সিলেট অপশন থেকে আপনার আইডি সিলেক্ট করে নিতে হবে এরপরে অপশনে আইডি নাম্বার দিয়ে পরবর্তী অপশনে I am not a robot এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
3) সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার অ্যাপ্লিকেশনের বর্তমান স্ট্যাটাসটি চলে আসবে। অর্থাৎ আপনার আবেদনের সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন যদি আবেদনপত্রে কোনো ভুল থাকে সেক্ষেত্রে এই সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া থাকবে।
এইভাবে আপনারা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদনের স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
• নিবন্ধটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সবার আগে জানার জন্য wbsainblog.com আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন
✅ 👉 Best online Shopping Deals today
✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
✅ আরও পড়ুন: 👉 Digital life certificate বা Jeevan pramaan Patra নভেম্বরে 2023 কি জমা দিতে হবে পেনশন ভোগীদের? Benefit জানুন বিস্তারিত তথ্য!
👉 Lakshmir Bhandar payment:- লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা আর পাবেন না এই কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলে!
👉 Driving Licence: রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত, জুন মাস থেকে দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স, কিভাবে মিলবে?